সালেহ্ বিপ্লব: [২] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতায় আসার পরই আমাদের সরকারের লক্ষ্য ছিলো নদী রক্ষা, নাব্য ধরে রাখা এবং দূষণের কবল থেকে নদীকে রক্ষা। বাসস

[৩] প্রথম বার ক্ষমতাসীন হওয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সেবারই আমরা নদী খননের পদক্ষেপ নেই। ভূমি পুনরুদ্ধারের কাজে পলিমাটি ব্যবহার করি। 

[৪] প্রধানমন্ত্রী বলেন, ড্রেজিং করে নদীর নাব্য ধরে রাখতে হবে। এর মাধ্যমেই নদীভাঙন রোধ করতে হবে। 

[৫] শেখ হাসিনা বলেন, নদীশাসনের নামে বাঁধ তৈরির একটা প্রবণতা ছিলো। এতে করে ফসলী জমির ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। 

[৬] সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মন্ত্রিসভা কক্ষে এক সভায় শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর নাব্য রক্ষা ও দূষণ রোধে প্রণীত মহাপরিকল্পনার আলোকে এই সভায় সমীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। সংশ্লিষ্ট প্রকল্প গ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েও আলোচনা হয়।

[৭] প্রধানমন্ত্রী বলেন, নদীর ধারে যেসব শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠে সেগুলোর বর্জ্য সাধারণত নদীতে যায়। স্যুয়ারেজ লাইনের সমস্ত বর্জ্যও নদীতে যায়, যার ফলে দূষণ বাড়ছে। 

[৮] তিনি বলেন, আমরা যাই করি না কেন, প্রথমেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কথা আমাদের মনে রাখতে হবে। দূষণের কারণে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে দুর্গন্ধ আসা খুবই বেদনাদায়ক। রাজধানীর আশপাশের নদীগুলোকে বাঁচাতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের কথাও বলেন শেখ হাসিনা।

[৯] তিনি আরো বলেন, নদী শাসনের জন্য নদীর গভীরতার কথা বিবেচনায় রাখতে হবে এবং আমাদের অবশ্যই  বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের লক্ষ্যে নদীর পাশাপাশি একটি বাফার জোন তৈরি করতে হবে।

[১০] সরকারপ্রধান পরিবেশ সংরক্ষণের কথা মাথায় রেখে যে কোনো উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপরেও জোর দেন।

[১১] তিনি বলেন, আমি ক্ষমতায় আসার পর থেকে সবাইকে সব নগরীর জন্য পরিকল্পনা তৈরি করতে বলেছি। আমরা যে পরিকল্পনাই গ্রহণ করি না কেন সেখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং পানির প্রবাহ সঠিকভাবে বজায় রাখতে হবে।

[১২] প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক যে অতীতে দেশের উন্নয়ন কর্মসূচি পরিকল্পিতভাবে হয়নি। পাকিস্তান আমলে এটি ঘটেনি এবং এমনকি ১৯৭৫ সালের পর অবৈধ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলকারী যারা অস্ত্র নিয়ে সংবিধান লঙ্ঘনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিল তারাও দেশের সামগ্রিক সমন্বিত ও পরিকল্পিত উন্নয়নে মনোযোগ দেয়নি। ফলে, পরিবেশগত সমস্যাগুলো উপেক্ষিত হয়েছে এবং নদীগুলোও দখল করা হয়েছে। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না